নতুন প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
নব নিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববদ্যিালয় (ইবি)। প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে আড়াই ঘণ্টা ফটক অবরোধ করে শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। আজ রোবাবর দুপুর দেড়টার দিকে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ক্যাম্পাসের ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় তাঁরা।
ইবি সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান প্রক্টর হিসেবে যোগদান করেন। ড. মাহবুবকে অবৈধ ঘোষণা করে পদত্যাগের দাবি করেছে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপ। আজ রোববার দুপুর দেড়টায় ক্যাম্পাসের দলীয় টেন্ট থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে উপাচার্যের কাছে গিয়ে ড. মাহবুবর রহমানকে অপসারণের দাবি জানায়। পরে ক্যাম্পাসের ফটকে তালা লাগিয়ে অবরোধ করে পদত্যাগ দাবি করে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী (শিডিউল গাড়ি) দুপুর ২টার গাড়ি ক্যাম্পাসে আটকা পড়ে। এতে চরম ভেগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তালা খুলে দিলে ক্যাম্পাস থেকে গাড়িগুলো ছেড়ে যায়। পরে বিদ্রোহীরা প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্রোহীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, মিজানুর রহমান লালন, বিপুল খান, তৌকির মাহফুজ মাসুদ, যুবায়ের প্রমুখ নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের দাবি, ২০১৪ সালে প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় প্রক্টর ড. মাহবুব পুলিশকে ছাত্রলীগের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনি। নিয়োগ বাণিজ্যের একাধিক অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে কীভাবে ইবির প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমাদের বুঝে আসে না। আমরা এই অবৈধ্য প্রক্টর মানি না। তাঁর পদত্যাগ চাই। আমাদের আন্দোলন চলছে, প্রক্টর বিষয়ে সিন্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসকে অছাত্র, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কারণে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে। নতুন প্রক্টর সন্ধান করা হচ্ছে।’