অবশেষে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বশেমুরবিপ্রবি
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার বহিষ্কার প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
লিখিত অফিস আদেশে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জনাব ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি এবং প্রশাসনকে বিব্রতকর করার চেষ্টার জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষমা চেয়ে আবেদন এবং বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি তথা বিভাগের সকল শিক্ষক উক্ত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার জন্য জনাব জিনিয়ার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন দিয়েছেন। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এনে এবং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবেদন আমলে নিয়ে জনাব ফাতেমা-তুজ-জিনিয়ার বিরুদ্ধে যে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হলো।’
গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেইলি সানের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে এক সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ নিয়ে দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্যাম্পাস জার্নালিস্টস ফেডারেশন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানায়।
এ নিয়ে টানা চার দিনের সমালোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়।
তবে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া বলেছেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে কোনো আবেদন করিনি। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেন আমার হয়ে ক্ষমা চাইবেন? আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। আমি জানি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যায়নি।’