ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় মাঠে থাকবে ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির ঢাবি শাখা।
আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৫৬টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মোট ২৭টি তথ্যকেন্দ্র থাকবে বলে আজ সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সব দুর্নীতি অপসারণ করতে প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতি রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
প্রশাসনের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পাঁচটি ইউনিট রয়েছে, এটি একটি মেধাভিত্তিক উৎসবের প্রতিযোগিতায় পরিণত হোক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন তারুণ্যের উৎসবে মুখরিত থাকে তা দেখতে চাই।’
প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতি রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনারা সর্বোচ্চ সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও যেন কোনো অসদুপায় অবলম্বন না করতে পারে, যে কোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করবেন।’ এ সময় তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি কোনো শিক্ষার্থী জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয় আমরা ছাত্রলীগ সেটি মেনে নেব না। আমরা এর দাঁতভাঙা জবাব দেব। একইসঙ্গে অভিভাবকদের অনুরোধ করব, আপনার সন্তান যেন সঠিক উপায়ে সততার সঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেয়। কোনোরকম জালিয়াতির আশ্রয় যেন না নেয়।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আপনাদের কাছে যদি কোনো তথ্য-প্রমাণ থেকে থাকে আপনারা আমাদের ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা যেন সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়, সেটা আপনারা লক্ষ রাখবেন। এজন্য আমরাও দায়বদ্ধ, আপনারাও দায়বদ্ধ।’
সাদ্দাম হোসেন আরো বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ২৮ বছর পরে ডাকসু পেয়েছি। এ নির্বাচন করার পেছনে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা গণমাধ্যমে গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে আমাদের সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে চমৎকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘EduBot’-এ পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় দিবে কোটা আন্দোলনকারীরা :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য শিক্ষার্থীদের দোরগোড়ায় ও প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে অনলাইনে 'EduBot' নামক একটি চ্যাটবট চালু করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সভাকক্ষে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর চ্যাটবটটির উদ্বোধন করেন।
'EduBot' হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি ম্যাসেঞ্জার চ্যাট ভার্সন। ভর্তি কার্যক্রম সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেবে 'EduBot'।
'EduBot' ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি, আসন বিন্যাস, ফলাফল, ভর্তি প্রক্রিয়া, বিষয় পরিচিতি, জরুরি সহায়তা, কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ও ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর তাৎক্ষণিকভাবে দেবে বলে জানান সংগঠনের নেতারা।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে এক হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদনকারীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৮ জন। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এরূপ কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস/যন্ত্র বহন করা যাবে না। পরীক্ষা চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়।