তিন দফা দাবিতে ইবি কর্মকর্তা সমিতির লাগাতার কর্মবিরতি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্মকর্তা সমিতি তিন দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছে।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় প্রশাসন ভবনের সামনে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদসভা শুরু করে তারা। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সমিতির কর্মকর্তারা।
ইবি ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অফিস সময় ৯টা থেকে সাড়ে ৪টার পরিবর্তে ৮টা থেকে ২টা, চাকরির অবসরের বয়স ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীত করা এবং উপরেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন চতুর্থ গ্রেডে উন্নীতকরণ, সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের ষষ্ঠ গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা সমিতি। দাবি মেনে না নেওয়ায় বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল, মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা সমিতি। দাবির পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
ড. কামাল উদ্দিন পদত্যাগ করলে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণকে আহ্বায়ক করা হয়। সে কমিটিও সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়।
পরে গত ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৬তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
কমিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসানুল হক আম্বিয়া, অর্থ ও হিসাব শাখার উপহিসাব পরিচালক মিন্টু কুমার বিষ্ণু রয়েছেন। ৩১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় কর্মকর্তাদের দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুনরায় আজ সকাল ৯টায় ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদসভা আয়োজন করে কর্মকর্তা সমিতি। একইসঙ্গে আগামী বুধবার পর্যন্ত কর্মবিরতি ও প্রতিবাদসভা এবং দাবি অনাদায়ে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয় তারা।
প্রতিবাদসভায় কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোরশেদুর রহমান বলেন, ‘জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিন। এতে মঙ্গল হবে। আপনি আমাদের অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য করবেন না। পরিস্থিতি ভালো হবে না। আজ প্রশাসন ভবনে আছেন কাল বাংলোতেও থাকতে পারবেন না। কর্মচারীদের নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে অফিস করতে হবে। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকুন।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘কর্মকর্তাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। তাঁদের বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তাদের কাছে কর্মকর্তা সুলভ আচরণ কামনা করি।’