স্বল্প খরচেই আর্সেনিকমুক্ত হবে পানি

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিজেদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দেখাচ্ছেন জাপানের তৈয়মা ইউনিভার্সিটির ওয়াটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. তমুনুরি কাওয়াকামি। ছবি : এনটিভি

স্বল্প খরচে পানি আর্সেনিক দূষণমুক্ত করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জাপান ও বাংলাদেশের দুই গবেষক। জাপানের তৈয়মা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. তমুনুরি কাওয়াকামি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেনের যৌথ গবেষণায় উদ্ভাবিত ওই প্রযুক্তিটির নাম ‘রিমুভাল অব আর্সেনিক থ্রু ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম’।

পানিকে আর্সেনিকমুক্ত করার প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ২০১৪ সালের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের পিএইচডি গবেষক ফিরোজুর রহমানকে নিয়ে ড. কাওয়াকামির সঙ্গে গবেষণা শুরু করেন রাবি অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন। দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রচেষ্টার পর এ বছরের মার্চে পুরা কাজ শেষ করতে পেরেছেন তাঁরা।

স্থানীয় উপকরণ ব্যবহারে উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিটি পরিবারের যে কেউ চালাতে পারবেন। বিদ্যুৎ বা ব্যাটারি উভয় দিয়ে প্রযুক্তিটি চালানো যাবে। বাংলাদেশের আর্সেনিকের ভয়াবহ অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রযুক্তিটি আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকায় স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে গবেষকদল।

অধ্যাপক মনজুর হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, টেকসই প্রযুক্তিটি স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ানরাও তৈরি করতে পারবেন। নিয়মিত একসঙ্গে ২০ থেকে ৩০ লিটার পানি আর্সেনিকমুক্ত করা যায় এমন সক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিটি তৈরি করতে মাত্র আট থেকে দশ হাজার টাকা খরচ পড়বে।

মনজুর হোসেন বলেন, পরিবেশ বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কোনো বর্জ্য তৈরি করবে না এই প্রযুক্তিটি।

আগস্ট মাসের মধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুর গ্রামে প্রযুক্তিটির একটি পাইলট প্রকল্প শুরু হবে বলেও জানান অধ্যাপক মনজুর হোসেন।