এবার ডাকসুর কর্মচারী নিয়োগ, জানেন না ভিপি!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কর্মচারী নিয়োগের আবেদন করেছে ছাত্রলীগ মনোনীত ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন। তবে ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ বরাবর করা এই আবেদনের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভিপি নুরুল হক নূর।
ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ডাকসুর জিএস ও এজিএসকে না জানিয়ে যখন ডাকসুর ভিপি নিজেই এর প্রতিবাদ করতে আসেন তখন ছাত্রলীগ এই বিষয়টি নিয়েই ক্ষুব্ধ হয়। যদিও ভিপি নূরের দাবি তিনি এস এম হলে যাওয়ার আগে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীকে ফোন করেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
এই ঘটনার কয়েকদিন পর ডাকসুতে কর্মচারী নিয়োগে ভিপি নূরকে না জানানোয় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। নূর বলেন, এই চিঠির যুক্তিযুক্ততা নেই। এটি অবৈধ।
তবে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীর দাবি, নূর বিষয়টি জানে। তিনি কেন এমন বলেছেন, তা তাঁর কাছে জানতে চাইব।
জানা যায়, ডাকসুতে বর্তমানে চারজন কর্মরত আছে। এ ছাড়া একজন সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, কমনরুম বেয়ারার দুজন, অফিস সহায়ক দুজন, অ্যাথলেটিক্স বেয়ারার একজন, গার্ড দুজন এবং পরিচ্ছন্নকর্মী একজন নিয়োগের আবেদন জানানো হয়। ওই আবেদনপত্রে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেমের স্বাক্ষর রয়েছে।
এ বিষয়ে নুরুল হক নূর আজ শনিবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এর আগে আইএমএলে চিঠি, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসন বরাবর একাধিক চিঠি তাঁরা দিয়েছেন। কিন্তু আমি নির্বাচিত ভিপি হলেও এ বিষয়ে তাঁরা আমাকে কিছুই জানায়নি। ডাকসুর স্টাফ নিয়োগে আমাকে না জানিয়ে চিঠি দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত? এর বৈধতাই বা কী?’
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় ১৬ মিনিটে নুর এ বিষয়ে সামজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘ডাকসুতে বিভিন্ন পদে চারজন লোক কর্মরত রয়েছে। আমার জিএস, এজিএস সাহেব আরো নয়জনের চাহিদাপত্র দিয়েছেন। অথচ জানলাম না আমি! অবশ্য এসব বিষয়ে বাম হাত/ডানহাত থাকে তো, চুপেচাপে করাই ভালো! কারণ অনিয়ম হলে বাধাটা এই ভিপিই দিবে। সুতরাং হামলা-টামলা, নাটক-ফাটক, ফন্দি-ফিকির করে ভিপিকে সরানো জরুরি হয়ে পড়বে!’
এ বিষয়ে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নূর বিষয়টি জানেন। কেননা আরেকটি পৃষ্ঠায় তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে। তিনি পুরো বিষয়টি না দিয়ে শুধু একটি অংশ সংযোজন করেছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে তাঁকে ধরব, কেন তিনি এ রকম করেছেন।’
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের জুনিয়র সব কোর্সের আবেদন ফি কমানোর দাবিতে করা আবেদনেও নুরকে জানানো হয়নি। ছাত্রলীগ মনোনীত ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত এই আবেদনের উদ্যোক্তা। ভিপিকে না জানানোর বিষয়ে তখন তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, এটি ডাকসুর জিএস, এজিএসের ক্ষমতাবলে করা হয়েছিল।