জাবির নৃবিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে বিভাগটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৪ তম ব্যাচ) ৪০৬ নম্বর কোর্স ‘পরিবেশ নৃবিজ্ঞান’ এর পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার আগে একজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে সহপাঠীরা ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এরপর বাকি শিক্ষার্থীরা এই কোর্সের পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান। দাবি না মেনে শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসার নির্দেশ দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকেন। পরে পরীক্ষা কমিটি জরুরি সভায় চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, স্থগিত হওয়া পরীক্ষাসহ দুইটি তত্ত্বীয় ও একটি মৌখিক পরীক্ষা বাকি আছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগে দুইদিন থেকে সাদিয়া ইসলাম ও নাজনিন শাহরিয়ার নামের দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে গত বুধবার শিক্ষার্থীরা বিভাগের শিক্ষকদের কাছে পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানান। কিন্তু শিক্ষকেরা দাবি মানেননি। পরীক্ষা দিতে এসে সাদিয়া ইসলাম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও শিক্ষকরা পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। পরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় না বসলে সব পরীক্ষাই স্থগিত করে পরীক্ষা কমিটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, ‘পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানালে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিভাগের জরুরি সভায় উপস্থিত শিক্ষকদের পরামর্শের অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।’

পরীক্ষা কবে নাগাত শুরু হতে পারে জানতে চাইলে মাসুদ রানা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিভাগের অধিকাংশ ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা চলমান। নতুন করে আবার পরীক্ষার রুটিন তৈরি করতে হবে। এছাড়াও মৌখিক পরীক্ষার জন্য একজন এক্সটার্নাল শিক্ষক থাকেন। আর বিষয়টি এখন পরীক্ষা কমিটির হাতে নেই। বিভাগের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘অসুস্থ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা দিতে না পারলে আমরা বিশেষভাবে তাদের পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। অথচ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছিল। একটা পরীক্ষা পেছানো হলে পরীক্ষার সম্পূর্ণ রুটিন এলোমেলো হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতে পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।’ শিগগিরিই বিভাগের সভায় পরীক্ষার নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।