‘ডাকসুতে হয়েছে কলঙ্কের নির্বাচন’
ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান বলেছেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। যেটা একটা কলঙ্কের নির্বাচন।’
আজ বুধবার ডাকসু নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতফসিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে ছাত্রদল। ওই মানববন্ধনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এর আগে মধুর ক্যন্টিন থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অপরাজেয় বাংলায় গিয়ে তা শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন, ‘আমরা শক্তি আমরা বল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল’, ‘প্রহসনের নির্বাচন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘দিবারাত্রির নির্বাচন, ছাত্রদল মানে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ঢাবি শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী, ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ডাকসু নির্বাচনের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী খন্দকার আনিসুর রহমান অনিক, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী খোরশেদ আলম সোহেলসহ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। যেটা একটা কলঙ্কের নির্বাচন। এই নির্বাচন ঢাবির সব নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। এই কলঙ্কিত নির্বাচনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জড়িত।’
এই নির্বাচনে ছাত্রলীগ ভোট জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ করে রাজিব বলেন, ‘১১ মার্চ কোনো নির্বাচন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশবাসী দেখেছে যে কী হয়েছে। এই নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট বাক্স পাঠানো হয়েছে। ছাত্রলীগ রাতেই ব্যালটে সিল মেরেছে। এ ছাড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও ভোট দিতে পারেনি।’
রাজিব কারচুপির নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের পদত্যাগের দাবি জানান। একই সঙ্গে তাদের শাস্তির আওতায় এনে বিচারেরও দাবি জানান তিনি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ‘এই নির্বাচন একমাত্র প্রশাসন এবং ছাত্রলীগ বৈধতা দিয়েছে। আমরা ছাত্রদলসহ সব প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচনে অনিয়ম এবং কারচুপি হওয়ায় এই নির্বাচন বর্জন করেছে। সবাই পুনরায় নির্বাচনের জন্য পুনঃতফসিল দাবি করেছে। দ্রুতই এই নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল দেওয়া হোক।’