ডাকসু নির্বাচন

শেষ মুহূর্তের প্রচারে প্রার্থীরা, দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি

Looks like you've blocked notifications!
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভিপি প্রার্থীরা। বাম থেকে ছাত্রলীগের রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ছাত্রদলের আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নুরুল হক নূর ও ও প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের লিটন নন্দী। ছবি : এনটিভি

আর মাত্র দুই দিন পরে ভোট, তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় নেমেছেন ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, জোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আজ শুক্রবার ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আবাসিক হলগুলোতে প্রচার চালান তাঁরা, ভোটারদের কাছে টানতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৪৩ হাজারের ভোটারের কাছে পৌঁছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের উপস্থিতি কম ছিল। তাই নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাত্রসংগঠনগুলো এদিন প্রচার চালায় আবাসিক হলগুলোতে। ভোট চান নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নূর বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতিতে যে নির্বাচনী ব্যবস্থা তার ওপর দেশের মানুষের একটা অনাস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও নির্বাচনের প্রতি কিছুটা হতাশা বা নিরাশ রয়েছেন।’

ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নূর বলেন, ‘আমরা তাদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ আমরা মনে করি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি হতাশ হয় এই জাতি নিরাশ হয়ে যাবে।’

শুক্রবার মধুর ক্যান্টিনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য। ক্ষমতাসীন  ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।

ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক বলেন, ‘বিভিন্ন হলে আমাদের যে ব্যানারগুলো আমাদের যে ফেস্টুনগুলো নেই। প্রশাসন এবং ছাত্রলীগকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি, এটার আবেগকে নিয়ে মর্যাদাকে নিয়ে মান নিয়ে খেলবেন না, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্বলে উঠবে। আমাদের নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকার ইচ্ছা আছে যদি প্রশাসন আন্তরিকতা দেখায়।’

প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য পরিষদের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, ‘আচরণবিধিকে মানা হচ্ছে না। আমরা ক্লাসরুম ক্যাম্পেইনের কথা বলেছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ক্লাসরুম ক্যাম্পেইন দেয়নি। কিন্তু তারা ক্লাসরুম ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছে। এই যে একপাক্ষিকভাবে সবকিছু করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্তরায়।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের পক্ষে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘তারা এখন বুঝতে পারছে যে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবে না। এজন্য সংঘবদ্ধ গ্রুপগুলো এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা ক্লাসরুমে কথা বলিনি, আমরা ক্লাসরুমের বাইরে গিয়ে, এখন ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তো কথা বলতে হবে। সেটা যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়, তাহলে আমরা কার কাছে ভোট চাইব।’

রোববার সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ১৮টি আবাসিক হলে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।