‘ছাত্রদল বিজয়ী হলে শঙ্কামুক্ত হবে শিক্ষার্থীরা’
ডাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার (অনিক) বলেছেন, ‘নির্বাচনে ছাত্রদল বিজয়ী হলে ক্যাম্পাসে যে ভীতিযুক্ত কিংবা শঙ্কাযুক্ত পরিবেশ রয়েছে সেটি থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মুক্তি পাবে। শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে-অবাধে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে পারবে।’
এনটিভি অনলাইনকে গতকাল বুধবার এসব কথা বলেন আনিসুর রহমান খন্দকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক।
আনিসুর বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যে ভীতিযুক্ত কিংবা শঙ্কাযুক্ত পরিবেশ রয়েছে সেটি থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে মুক্তি পেতে পারে এবং তারা নির্ভয়ে-অবাধে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে পারে; আমরা বিজয়ী হলে সেটির ব্যবস্থা করে দেব। তা ছাড়া আবাসন-খাবাবের মান উন্নয়ন, গ্রন্থাগার এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় কার্যকলাপের দিকে আমরা নজর দেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট সচেতন বলে মনে করেন আনিসুর। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কিছুই নেই। আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে।’
ইশতেহারে ‘সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস’
ছাত্রদলের ইশতেহারে কোন কোন বিষয় প্রাধান্য পাবে জানতে চাইলে আনিসুর জানান, সন্ত্রাসবাদমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস; আবাসন সংকট ও নতুন হল নির্মাণ; কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন; পরিবহন সংকট নিরসন; ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধি; শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধ; বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের আধুনিকায়ন; গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি; একাডেমিক ভবন ফ্রি-নেটওয়ার্কের আওতায় আনার বিষয়গুলো থাকবে।
ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্রসহ প্রশাসনকে সাত দফা দাবি দিয়েছিল ছাত্রদল। তার কোনোটিই মানেনি প্রশাসন। এ বিষয়ে আনিসুর বলেন, ‘প্রশাসন শুধু আমাদের দাবিগুলো নয়, অধিকাংশ ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের দাবিও মানেনি। আমরা মনে করি, শুধু একটি ছাত্র সংগঠনকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য এসব কাজ করেছে প্রশাসন। তবে আমরা আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এখনো সময় আছে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি। প্রশাসন যদি এসব দাবি আন্তরিকভাবে মেনে নেয় তাহলে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
হলে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নেই
হলগুলোতে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেয়নি। এ বিষয়ে আনিসুর বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রার্থীকে পরোক্ষভাবে নির্বাচন করা থেকে নিভৃত রেখেছে ছাত্রলীগ। এজন্য হলের সব পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারিনি। আমাদের অনেকেই এর ফলে প্রার্থী হয়নি। তারা বলছে পারিবারিক চাপে হয়নি। আবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দেখলে পারিবারিক কোনো চাপ নেই। শঙ্কার রাজনীতি, ভয়ের রাজনীতি-এই বিষয়গুলোতে ছাত্রলীগ আমাদের ক্ষতি করছে। আশা করি সামনে এসব থাকবে না। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ তারা তো আমাদের অভিভাবক। ঢাবিকে সুসংগঠিত করার জন্য এবং পুরো দেশের গুণগত নেতৃত্বর বিকাশের জন্য আপনারা আন্তরিকতা দেখান, একমুখী আচরণ করবেন না। সুন্দর পরিবেশে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমরা হলে সহ-অবস্থান নিশ্চিত চাই।’
সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আনিসুর বলেন, ‘সবার কল্যাণে ছাত্রদলকে ভোট দিয়ে মনোনীত করুন এবং ১৯৯০ সালে যেমন স্বৈরাচার পতন হয়েছিল তেমনি বর্তমান অবরুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্তি করুন এ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে। বিজয়ী হলে ছাত্রদল দেশের এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে।’