জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পদে রদবদল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, চার বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে এসব পদে রদবদল করা হয়েছে। পদগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক (দুজন) এবং ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক।

এসব পদের মধ্যে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও আইকিউএসির পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদারকে অব্যাহতি দিয়ে যথাক্রমে অধ্যাপক হানিফ আলী ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুর রশিদকে অব্যাহতি দিয়ে অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল হাসানকে এবং আরেক অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক তপন কুমার সাহার স্থলে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েলকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক খবির উদ্দিনকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে অধ্যাপক এ এ মামুনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতি পাওয়া সবাই উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক সংগঠনে সক্রিয় ছিলেন। অন্যদিকে নতুন নিয়োগ পাওয়া সবাই উপাচার্যপন্থী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।

এ ঘটনায় রোববার বিকেলে উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের জোট ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে বহাল তবিয়তে আছেন। উপাচার্যপন্থী শিক্ষক হওয়ায় যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক বশির আহমেদ ও অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও বাদ দেওয়া হয়নি। এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উনাদের বদলাব দেখেই কি এদেরও বদলাতে হবে? যারা আমার বিশ্বস্ত তাদের আমি বদল নাও করতে পারি। অবিশ্বস্ত লোক নিয়ে কাজ করলে প্রশাসনে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।’