ডাকসু : পরাজয়ে ভীতরা নির্বাচন বানচাল করবে

Looks like you've blocked notifications!
ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মুশতাক হোসেন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

নব্বই দশকের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন যে কয়বার বানচাল হয়েছে তা প্রশাসনের যোগসাজসে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, যারা ভিপি-জিএস হতে পারবে না তারাই নির্বাচন বানচাল করবে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কাজী আরেফ আহমেদের স্মরণে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মুশতাক হোসেন এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল।

ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, নব্বই দশকের পরে যে কয়টি নির্বাচন বানচাল হয়েছে, যারা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না তারা কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে ভাইস চ্যান্সেলরের (উপাচার্য) বাড়িতে ইট মেরে নির্বাচন বানচাল করেছে। একই দলের মধ্যে আছে- যারা মনে করছে আমি তো এবার ভিপি-জিএস হতে পারব না। ভিপি হবে অমুক, নির্বাচন হয়ে লাভ কি? যারাই ভিপি হতে পারবে না- তারাই নির্বাচন বানচালের জন্য গোলযোগ সৃষ্টি করবে। গোলাগুলি করে নির্বাচন বানচাল করবে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে যাওয়ার আগে বলেছেন জাতীয় নির্বাচনে আমাদের সরকার জয়লাভ করেছে, ডাকসু নির্বাচনে যদি অন্য কোনো সংগঠন জয়লাভ করে এতে আমাদের সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের বা ছাত্রলীগের একটি অতি উৎসাহী অংশ যদি গোলযোগ করে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করে তবে দোষ পড়বে কিন্তু শেখ হাসিনার ওপরে। যারা গত বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ভোট বাক্সে সিল মেরে রেখেছিল দোষটা পড়ছে শেখ হাসিনার। তাই ডাকসু নির্বাচনেও যদি কেউ কাউকে ভোট দিতে না দেন, অবাধ ভোট করতে না দেন তবে দোষটা পড়বে শেখ হাসিনার ওপরে। শেখ হাসিনাকে ভালোবাসলে, গণতন্ত্রের ধারাকে বজায় রাখতে হলে কোনো ষড়যন্ত্রকারী যেন আশ্রয় না পায় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

ডাকসু নির্বাচনে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সাবেক এই জিএস। তবে স্বাধীনতা বিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি যেন এতে অংশ নিতে না পারে সে ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আমি শুনেছি, কোটা সংস্কার আন্দোলনের যারা তাদের নাকি অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু তারাও করতে পারে, সাংস্কৃতিক সংগঠনও প্যানেল দিতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরের কোনো রাজনৈতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করতে না পারে।

ডাকসুর সাবেক জিএস বলেন, ১৯৭৮ সালে যখন ডাকসু নির্বাচন হয়নি তখন আমরা ঘোষণা দিয়ে সামরিক সরকারের দালাল এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিষিদ্ধ করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করেনি। তখন পরিবেশ পরিষদে তাদের নেওয়া হয়নি। এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে যে কেউ নির্বাচন করতে পারে।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি মো. শাহজাহান আলী সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি করিম সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, সাবেক সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, সাবেক ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম রুবেল প্রমুখ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিসিএলের সাধারণ সম্পাদক গৌতম শীল।