ডাকসু নির্বাচন : ভোটকেন্দ্রের বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি : এনটিভি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র হলে না একাডেমিক ভবনে করা হবে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণভোট করার প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ।

আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এই প্রস্তাব দেন মঞ্চের নেতারা। ডাকসুর দাবিতে গড়ে ওঠা ‘ঢাবি শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রায় সাত বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ মঞ্চ গঠন করেন।

এরপর থেকে ২০১২ সালে ডাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে স্মারকলিপি, মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ ২০১২ সালের মার্চে মঞ্চের ২৫ জন সদস্য আদালতে রিট করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে অচল থাকা ডাকসু নির্বাচন। এই আন্দোলনকারীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এঁদের মধ্যে নূর বাহাদুর, মওদুদ মিষ্টি, নূরে আলম দুর্জয়, অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের অন্যতম সদস্য মওদুদ মিষ্টি। তিনি প্রথমেই ডাকসু নির্বাচনের এই উদ্যোগ নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্বাগত জানান। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাধীন, বিচার-বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ডাকসু নির্বাচনের আশা করেন।

তবে আদতে ভোট হবে কিনা সে বিষয়েও শঙ্কাবোধ করেন। মওদুদ মিষ্টি বলেন, ভোট নিয়েও যেন শঙ্কার শেষ নেই। আদতে ভোট হবে তো? শিক্ষার্থীরা নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে তো? এটা যদি না হয় তবে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বলতা হতাশায় নিমজ্জিত হবে।

সংবিধানের দিকে দৃষ্টিপাত করে মওদুদ মিষ্টি বলেন, ডাকসুর বর্তমান সংবিধানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আন্দোলন ও অবস্থান নেওয়ার ক্ষমতা কতটা দেওয়া হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। বলা হচ্ছে, ইউনিয়নটির শিক্ষার্থীদের। অথচ এর চূড়ান্ত ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে। তিনিই সর্বেসবা-একনায়ক। তিনি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানান।