তালা মেরে জবি ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে অবরুদ্ধ

Looks like you've blocked notifications!
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা। পরে তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়। ছবি : এনটিভি

কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অমান্য করে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা।

বুধবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জবি শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা।

দুপুর দেড়টায় জবি শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল তাদের কর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পুরো ক্যাম্পাস মহড়া দেন। মহড়া শেষে ছাত্রসংসদে অবস্থান নিলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা ও জবি ছাত্রলীগের বিদ্রোহী পক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্থগিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সব নেতাকর্মীকে ছাত্রসংসদ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তাঁরা বের হতে অস্বীকৃতি জানালে বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা ছাত্রসংসদের মূল ফটকে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমানের মধ্যস্থতায় ছাত্রসংসদের তালা ভেঙে স্থগিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নেতাকর্মীদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের আশ্বাস দেওয়া হয়, স্থগিত কমিটির নেতারা আর ছাত্রসংসদে অবস্থান করবে না, ক্যাম্পাসে মহড়াও দিবে না। বিক্ষুব্ধরা আশ্বাস পেয়ে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যান।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি জবি ছাত্রলীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে ক্যাম্পাসে সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তের জন্য চার সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা হলেন সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান খান জয় ও ইয়াজ আল রিয়াদ। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় স্থবির হয়ে পড়েছে জবি শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম।

জবি শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, আমরা বসন্ত উপলক্ষে ক্যাম্পাসে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছিলাম। এমতাবস্থায় কিছু বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যাতে আমরা তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াই এবং এতে আমাদের কমিটির শাস্তি আরো বেড়ে যায়। তাদের এমন কুচক্রান্ত কখনোই সফল হবে না।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে কোনো হতাহত হয়নি। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।