ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি, ইবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত
মুক্তিযোদ্ধার নাতি হওয়ার মিথ্যা পরিচয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি হওয়ার অভিযোগ ওঠায় সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর এ অভিযোগ ওঠে ইবির ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। পরে আজ সোমবার দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ইবি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক ও উপরেজিস্ট্রার (শিক্ষা) শফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কমিটিকে উপাচার্যের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আবদুল লতিফ বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।’
এদিকে, ইবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। খুব শিগগিরই তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন আনোয়ার। তাঁর শ্রেণি রোল- ১৫২৪০৮১ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ১৭৬৯। আনোয়ার হোসেন কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার খাজা নগর গ্রামের মো. বাবুর আলীর ছেলে।
আনোয়ার একই জেলার মিরপুর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তারের সনদ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মুক্তিযোদ্ধার আনোয়ার হোসেন নামে কোনো নাতি নেই।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী লুৎফুন্নেসা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুই বছর আগে আমার স্বামী (মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার) মারা গেছেন। আমার এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তবে, আমার কোনো নাতি-নাতনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে পড়াশুনা করে না।’ এ ছাড়া আনোয়ার হোসেন নামে তাঁর কোনো নাতি নেই বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে শামিম বলেন, ‘আমার বাবা কাউকে তাঁর মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়েছিলেন কি না, তা জানা নেই। বাবার সনদ দিয়ে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকলে এটি উচিত কাজ করেনি। এর শাস্তি হওয়া উচিত।’