‘অনুমতি নেয়নি’, তাই নেতাদের আটকে রাখল ছাত্রলীগ
এবার প্রগতিশীল ছাত্রজোট নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিবে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এ দুই দাবিতে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রচার করতে যায় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
অভিযোগ ওঠে, এ সময় তাদেরকে ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি জামি উস সানীর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। পরে বুয়েট ক্যাফেটরিয়ার মধ্যে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তাদেরকে জোর করে লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করতে বলে ছাত্রলীগ। তবে জোটের নেতাকর্মীরা তাদের ভুল স্বীকার করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রচারপত্র বিতরণ করতে আসে। এ সময় ছাত্রলীগ তাদের বাধা দেয়। পরবর্তী সময়ে তাদেরকে বুয়েট ক্যাফেটরিয়ার মধ্যে আটকে রাখে। প্রায় এক ঘণ্টা পর তাঁরা বের হয়ে আসেন।
প্রগতিশীল জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা দুপুরে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে এবং কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে লিফলেট বিতরণ করতে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাধা দেন।’
গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বলে যে, আমরা তাদের থেকে অনুমতি নেইনি কেন? যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা প্রচারণা চালালে ছাত্রলীগের অনুমতি নিতে হবে কেন? বাধা দেয়ার মাধ্যমে তারা আমাদের মত প্রকাশের অধিকার হনন করতে চায়।’
‘আমরা যে লিফলেট বিরতণ করতে যাই। এটা নাকি আমাদের ভুল। এজন্য তাঁরা আমাদের জোর করে লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করতে বলেন। আমরা এটা না করে চলে আসি’, যোগ করেনপ্রগতিশীল জোটের সমন্বয়ক।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জামি উস সানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বুয়েটে তাদের (প্রগতিশীল জোট) কোনো শাখা নেই। এখানে তাঁরা লিফলেট বিতরণ করবেন কেন? তাদের বাধা ও পরবর্তীতে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
জামি উস সানী বলেন, বুয়েট ক্যাফেটরিয়াতে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। জোর করে ভুল স্বীকার করানোর কথাও অস্বীকার করেন এ ছাত্রলীগ নেতা।