রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বে ৩ ছাত্র, আট মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার হলে গণিত বিভাগের তিন শিক্ষার্থী সহায়ক কর্মচারীর দায়িত্ব পালন করার ঘটনায় আট মাসেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। কবে নাগাদ প্রতিবেদন দাখিল হতে পারে, এ নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনুষদ থেকে একটি পরিদর্শক কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে একজন শিক্ষককে আহ্বায়ক করে তাঁর অধীনে কয়েকজন শিক্ষক পরীক্ষা পরিদর্শনের দায়িত্ব বণ্টনের তালিকা তৈরি করেন। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক সময় শিক্ষক ছাড়াও শিক্ষার্থী, কর্মচারী এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাবিহীন ব্যক্তিকেও রাখা হয়।
ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালায় বলা আছে, পরীক্ষার হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী ছাড়া একাডেমিক ভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনে তিনটি শিফটে পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করেন গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকির হোসেন, আব্দুর রহমান ও মো. সোহেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানের সুপারিশে তাঁর বিভাগের ওই তিন শিক্ষার্থীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তাঁদের প্রতিটি পরীক্ষার জন্য তিনটি করে ৫০০ টাকার খাম দেওয়া হয়।
পরে এ ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রক্টরকে দায়ী করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তুমুল সমালোচনা শুরু করে। এরপর ওই বছরের ১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭৩তম সিন্ডিকেট সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তদন্ত চলছে। দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’