ঢাবিতে শিক্ষককে কলার ধরে ধাক্কা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ-উল ইসলামের বিরুদ্ধে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা ও আঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অধ্যাপক মেজবাহ-উল ইসলামের দাবি, তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় একাডেমিক কমিটি ও প্রক্টরের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন আনোয়ারুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিভাগটির চেয়ারম্যান তাঁর কক্ষে তাঁকে (আনোয়ারুল ইসলাম) মারধর করেন।
অভিযোগে আনোয়ারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সন্তানের অসুস্থতার কারণে সোমবার বিভাগের একাডেমিক মিটিংয়ে আসতে না পারায় পরের দিন মঙ্গলবার ক্লাস নিতে এলে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ-উল ইসলাম একাডেমিক মিটিংয়ে কেন আসতে পারেননি বলে তাঁর কৈফিয়ত চান। এ সময় এ শিক্ষককে গালিগালাজ এবং তাঁর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এদিকে একই দিন বিকেলে বিভাগের সন্ধ্যাকালীন প্রোগ্রামে ক্লাস নিতে এলে বিভাগের কর্মচারী দিয়ে আনোয়ারুলকে ডেকে আনেন ড. মেজবাহ-উল ইসলাম। পরে চেয়ারম্যানের রুমে গেলে চেয়ারম্যান তাঁকে অনেক গালিগালাজ করেন এবং কেন মিটিংয়ে আসেনি তাঁর কারণ জানিয়ে দরখাস্ত দিতে বলেন। আনোয়ারুল দরখাস্ত না দিয়ে ছুটির ফরম জমা দেবেন জানালে তখন অন্য সহকর্মীদের সামনে চেয়ারম্যান তাঁর (আনোয়ারুল) শার্টের কলার ধরে তাঁকে ধাক্কা দেন। এ সময় সহকর্মীরা চেয়ারম্যানকে আটকানোর চেষ্টা করেন। পরে তাঁরা চলে গেলে চেয়ারম্যান মেজবাহ ফের আনোয়ারুলের ওপর চড়াও হন এবং তাঁকে লাথি ও ঘুষি দেন। এরপর ভুক্তভোগী এ শিক্ষক বাসায় চলে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের একাধিক কর্মচারী ওই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা আগে অন্য শিক্ষকের সঙ্গেও ঘটিয়েছেন মেজবাহ।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ নিয়ে ডিনসহ আমাদের একাডেমিক কমিটির মিটিং হয়েছে। বিষয়টি ঠিক হয়ে গেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখব।’