পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের দুজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সদস্য অনিক মাহমুদ বনি ও বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার মুস্তাকিমের ছেলে মিঠু। মিঠু স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।  অপরদিকে আটক হয়েছেন সবুজ ও তুষার। তাঁরা দুজনই বিনোদপুরের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে প্রচার মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বনি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাসেলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। পরে রাসেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বনি। একপর্যায়ে তিনি রাসেলের নাকে আঘাত করেন। পরে রাসেল স্থানীয় সবুজ, তুষারসহ কয়েকজনকে নিয়ে বনির ওপর আক্রমণ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বনি ও মিঠু ছুরিকাহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বনি বলেন, ‘আমি প্রচার মিছিল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় রাসেল কয়েকজন শিবিরের ক্যাডার নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। তারা আমার পায়ের পাঁচ জায়গায় ছুরিকাঘাত করে।’

অন্যদিকে রাসেল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কাউকে ছুরিকাঘাত করা হয়নি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’

জানতে চাইলে মতিহার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দুজনকে আটক করেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’