রাবি শিক্ষককে ইন্টার্নের মারধর, মহাসড়ক অবরোধ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ টি এম এনামুল জহিরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বেলা ১১টার দিকে আইন বিভাগের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতে করে রাস্তার দুপাশে প্রায় চার কিলোমিটার ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ সময় ‘আমার শিক্ষক আহত কেন, জবাব চাই প্রশাসন’, ‘এক দফা এক দাবি—গ্রেপ্তার, গ্রেপ্তার’ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসেন। তাঁরা বিকেল ৪টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত দেন। তবে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে যাচ্ছিলেন এনামুল জহির। এ সময় ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে এনামুল জহির ইন্টার্নকে ননসেন্স বলে মন্তব্য করেন। পরে ওই নারী মোবাইল ফোনে বিষয়টি আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক কামালকে জানান। পরে কামাল আরো কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে নিয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে যান এবং সেখানে তাঁকে মারধর করেন।
পরে ঘটনাটি জানতে পেরে রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
তবে এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সহযোগী অধ্যাপক এনামুল জহিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি এখনো ঘটনাস্থলে আছি। তাদের দাবি তো যৌক্তিক। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে।’
তবে রাস্তা অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।’