ভাস্কর্য উল্টিয়ে প্রতিবাদ : ইন্ধন খতিয়ে দেখতে চিঠি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের সব ভাস্কর্য উল্টিয়ে ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করার পেছনে কারো ইন্ধন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার রাবির মৃতশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এই চিঠি পাঠায়।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে অনুষদের প্রায় ৫০০ ভাস্কর্য উল্টিয়ে ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৃতশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৩০ থেকে ৪০ জন ওই কাজটি করেছে বলে গণমাধ্যমের কাছে জানায় বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন অনিক ও ইউসুফ আলী স্বাধীন।
এ বিষয়ে মৃতশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল মতিন তালুকদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জানবে এর সঙ্গে কারা জড়িত। এর পেছনে কারো ইন্ধন আছে কি না। তাদের উদ্দেশ্য কী? এই সার্বিক বিষয় জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে তাদের কী শাস্তি হবে।’
আবদুল মতিন আরো জানান, নৈশপ্রহরী চিনতে পারায় এই ঘটনায় জড়িত সাতজনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
চারুকলা অনুষদের ডিন মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মৃতশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগ একাডেমিক মিটিং করে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যেন বিশ্ববিদ্যালয় খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সায়েন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছে এখনো সেটা (চিঠি) আসেনি, কাল হয়তো পেয়ে যাব। ছাত্ররা এর দায় স্বীকার করেছে এবং কী কারণে করেছে সেটাও বলেছে। কিন্তু কাজটা তারা ঠিক করেনি এবং এটা যে শাস্তিমূলক অপরাধ, এটাও ঠিক। ‘একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে তদন্ত কমিটিসহ আমাদের কতগুলো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেগুলো সম্পন্ন হলেই প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’