করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ১৮ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে হল খোলা থাকবে, শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে অবস্থান করতে পারবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিসসংলগ্ন আবদুল মতিন ভার্চুয়াল কক্ষে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের চেয়ারপারসন, হল প্রভোস্ট, ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালকদের নিয়ে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেন।

উপাচার্য বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার যাতে না হয়, শিক্ষার্থীরা যাতে আক্রান্ত না হয়, সে জন্য দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। এ কারণে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী জরুরি সভার বিষয়ে বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে। এদিকে আমাদের শিক্ষার্থীরা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ডাকসুর পক্ষ থেকেও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের যে কথা, সেটা আমাদেরও কথা। মনের দিক থেকে সব কথা কাছাকাছি। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা বসে নেই। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবে।’

অন্যদিকে কাল থেকে সারা দেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কোচিং সেন্টারসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি জানান, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে আমরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের চেয়ারপারসন, হল প্রভোস্ট, ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালকদের নিয়ে জরুরি সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। ছবি : এনটিভি