হঠাৎ হল ছাড়ার নির্দেশে ভোগান্তিতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা, তদন্ত কমিটি
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের কারণে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই হল ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে শনিবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও জেএসসি পরীক্ষার কারণে যানবাহন না পেয়ে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
সংঘর্ষের পর কুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের এবং রোববার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আচমকা হল ছাড়ার এই নির্দেশে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কুয়েটে ছেলেদের ছয়টি ও মেয়েদের একটি হল রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী হলে থাকে। সকাল থেকেই হল ছাড়ছে শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে এ ধরনের ঘোষণায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা ফিরতি টিকিট কেটে রাখায় কুয়েট শিক্ষার্থীরা বাস ও ট্রেনের টিকিট পাচ্ছে না। আবার অনেক শিক্ষার্থীর খুলনাতে কোনো আত্মীয়স্বজনও নেই।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাসের হলগুলো বর্তমানে প্রায় শিক্ষার্থীশূন্য রয়েছে। তবে কুয়েটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকায় যথারীতি সকাল থেকে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুয়েটের এম এ রশীদ হল ও ফজলুল হক হলের মধ্যে আন্তহল ফুটবল খেলা চলছিল। খেলা চলাকালীন বিকেল ৫টার দিকে রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দুটি দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় এ উত্তেজনা বেড়ে এম এ রশীদ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। রাতে উত্তেজনা আরো বাড়লে কুয়েট প্রশাসন জরুরি সভা ডেকে মধ্যরাতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
কুয়েটের রেজিস্ট্রার জিএম শহিদুল আলম অনিদিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ বিকেল ৫টার মধ্যে ছেলেদের এবং রোববার সকাল ১০টার মধ্যে মেয়েদের হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরন্নবী মোল্লাহকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।