শাহবাগে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, তীব্র যানজট
চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছেন মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার সকাল ১০টায় তাঁরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এতে রাজধানীর কাঁটাবন, প্রেসক্লাব, পল্টন, কারওয়ান বাজারসহ সব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তাঁদের দাবিগুলো হলো করোনা মহামারিতে পরীক্ষা নয়, অনতিবিলম্বে সেশনজট দূর করতে পরবর্তী ধাপের অনলাইন ক্লাস শুরু করতে হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে নির্ধারিত ৬০ মাস, এবং বিডিএস কোর্সে ৪৮ মাসের (পুরাতনদের ৬০ মাস) বেশি বেতন ফি আদায় করা যাবে না এবং পরীক্ষা ও ক্লাস-সংক্রান্ত সব আদেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত ঢাকা মেডিকেলের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা সকাল ১০টা থেকে অবস্থান নিয়েছি। গত ২৭ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের বৃত্তিমূলক পরীক্ষা নেওয়া হবে। করোনার কারণে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। সরকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে বিকল্প উদ্যোগ নিলেও আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আমাদের জন্য হুমকি।’
অপর এক শিক্ষার্থী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষার হলে অবস্থান করা অত্যন্ত কঠিন। অনেক হলে আমরা এক রুমে তিন থেকে চারজন বা তারও বেশি বসবাস করি। কমন বাথরুম ব্যবহার করতে হয়। একটি বেসিন ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী ব্যবহার করে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। করোনার কারণে আমরা এরই মধ্যে অনেক কাছের মানুষকে হারিয়েছি।’
আন্দোলনরত অপর শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেশনজট দেখা দিয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোর ক্লাস ও হোস্টেল বন্ধ থাকলেও অতিরিক্ত বেতন পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষ চাপ প্রয়োগ করছে। দুঃখজনক বিষয় হলো, আমাদের এসব সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
শাহবাগ থানার পরিদর্শক আরিফুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মেডিকেল শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে বসে পড়েছে। এ কারণে যানজট তৈরি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে।