ভোট পেছাতে অনশন, বাড়ছে অসুস্থের সংখ্যা
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ পেছাতে অনশন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টানা তিন দিনের এই অনশনে বেড়েছে অসুস্থ্যের সংখ্যা।
আজ শনিবার দুপুরে অসুস্থের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল নয়জন।
আজ সকাল ১১টার দিকে অভি দাস প্রীতম নামের এক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাজু ভার্স্কযের পাদদেশে আমরণ অনশন শুরু করেন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। জগন্নাথ হল সংসদের সহসভাপতি ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উৎপল বিশ্বাস এবং জগন্নাথ হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দাসের নেতৃত্বে প্ল্যাকার্ড হাতে অনশনে বসেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, শুক্রবার রাতে অনশনরতদের মধ্য থেকে একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঢামেকে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। তাঁর নাম সুকেশ দেব। তিনি পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
এ ছাড়া যারা অসুস্থ হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস, জিএস কাজল দাস, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের অপূর্ব চক্রবর্তী, সয়েল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অর্ক সাহা, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সবুজ কুমার, সয়েল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের জয়ন্ত বণিক, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের সুকেশ দেবনাথ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের রবিউল আওয়াল রবি, সয়েল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ভবতোষ চন্দ্র রায়।
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার বিকেলে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। এ সময় তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিক বিবেচনা করে সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
উপাচার্য বলেন, ৩০ তারিখ যে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হলো এটি কোনো ব্যক্তি গোষ্ঠী বা জাতি থেকে আসেনি। এটি বানানো। তাই আমি মনে করি, যদি আইন-আদালতের কোনো ঝামেলা না থাকে তাহলে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিকটি বিবেচনা করে আর কালবিলম্ব না করে নির্বাচন কমিশনের এই তারিখটি পরিবর্তন করা উচিত।
জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজল দাস বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব। এই অনশন হচ্ছে সর্বশেষ পর্যায়। এটা শুধু আমার বক্তব্য না, সবার একই বক্তব্য।