ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে ঢাবির ৬৩ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার!
বিভিন্ন মেয়াদের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মোট ৮৭ জনের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ পেয়েছিল শৃঙ্খলা কমিটি। পরবর্তী সময়ে তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভা। পরবর্তী সময়ে যাচাই-বাছাই করে ৬৩ জনকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করে শৃঙ্খলা কমিটি- যা আগামী সিন্ডিকেট সভায় পাস হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, ‘মোট ৮৭ জনের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। এরমধ্যে ৬৩ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। নয়জনকে আগেই সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। এ ছাড়া এর আগে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে ১৫ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
প্রক্টর আরো বলেন, বিভিন্ন সময় ছিনতাই ও মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো ১৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না- তা জানতে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগে দুজনকে চিহ্নিত করেছিল প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। তাদেরও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া মুহসীন হল ছাত্রলীগের চার নেতাকেও স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান প্রক্টর।
প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। যা এর আগে কেউ করতে পারেনি। এখানে যাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে তারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অপরাধীর স্থান হতে পারে না।’