বহিরাগত যুবকের হাতে ইবি শিক্ষক লাঞ্ছিত
বহিরাগত যুবকের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে আলমগীর নামের এক বহিরাগতের হাতে লাঞ্ছিত হন ওই শিক্ষক। পরে অভিযুক্ত আলমগীরকে ইবি থানায় হস্তান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ড. জাহাঙ্গীরের ভাষ্য, দুপুরের দিকে মীর মশাররফ হোসেন ভবনের নিজ কক্ষ থেকে বাইরে বের হন শিক্ষক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন। পরে আচমকা আলমগীর নামে এক বহিরাগত তাঁকে আঘাত করে।
ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আলমগীরকে আটক করে মারধর করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনের কাছে হস্তান্তর করে। আলমগীর নিজেকে ব্যাংক কর্মকর্তা, পুলিশের এসআইসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয় দিতে থাকেন।
পরে প্রক্টর তাঁকে ইবি থানায় হস্তান্তর করলে আলমগীর নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করেন। অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন নিজেকে লোক-প্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন। তবে আসলেই তিনি ছাত্র ছিলেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে বহিরাগতের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এ ছাড়া ক্যাম্পাসকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বহিরাগতমুক্ত করার দাবি জানায়।
পরে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্যের কাছে সাক্ষাৎ করে তদন্ত সাপেক্ষে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অভিযুক্তকে আটকের পর ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আরিফ বলেন, ‘অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে প্রক্টর অফিস থেকে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। প্রক্টর অফিস যে অভিযোগ দেবে ওই ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’