জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রিতে ভূষিত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আগামী বছর মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুকে সম্মানসূচক এই ডিগ্রি প্রদান করা হবে বলে জানান ভিসি।

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আসলে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা না হলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুজিব বর্ষে অর্থাৎ ২০২০ সালে আমরা বঙ্গবন্ধুকে এ ডিগ্রি প্রদান করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ছবি : এনটিভি

ভিসি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেহেতু ল’-এর (আইন) শিক্ষার্থী ছিলেন। তাই তাঁকে ডক্টর অব লজ ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এ ছাড়া আমাদের ডক্টর অব সায়েন্স, ডক্টর অব লিটারেচারসহ (ডি-লিট) ইত্যাদি ডিগ্রি রয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণির এক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তাঁকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৭ সালে প্রায় ৬১ বছর পর সেই আদেশকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয় বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধু তখন রাষ্ট্রপতি এবং পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনের খবরে সর্বত্র সাজ সাজ রব পড়ে যায়। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে। ছাত্র-শিক্ষকগণ বঙ্গবন্ধুকে সামনে থেকে দেখা এবং তাঁর বক্তৃতা শোনার জন্য দিনক্ষণ গুনছিল। কিন্তু ওই দিন খুব সকালে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ সংবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনা দেওয়ার সব আয়োজন পড়ে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, রেজিস্ট্রার এনামুজ্জামান প্রমুখ।