ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীর পরীক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা করবে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এই তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাবি ছাত্রীকে আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সাদেকা হালিম। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা তাঁদের সর্বোচ্চ দিয়ে চিকিৎসা করেছেন। সে শারীরিকভাবে এখন সুস্থ হলেও মানসিকভাবে পুরোপুরি ঠিক হতে আমার মনে হয় আরো অনেক সময় লাগবে। তবে তার মনোবল অত্যন্ত শক্ত রয়েছে। সে অবশ্যই পড়ালেখায় ফিরতে চায় এবং তার হাতে এখনো বই রয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব তার পরীক্ষাটি নেওয়ার এবং উপাচার্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
গত রোববার সন্ধ্যার পর কুর্মিটোলা এলাকায় রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ওই ঢাবি ছাত্রী। রাতে তাঁকে ঢাকো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। আজ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপরই স্বজনরা তাঁকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সব চিকিৎসক আজ সকালেও মেয়েটিকে সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এরপরই তাঁরা মেয়েটিকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে ছাড়পত্র দেন। মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে এখন ভালো আছে। তাঁর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য কিছু উপদেশ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে তাঁকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢামেক পরিচালক বলেন, ধর্ষক যেহেতু মাদকাসক্ত ছিল এবং নানা বিষয় বিবেচনা করে প্রথম থেকেই মেয়েটির সব ধরনের সুরক্ষা চিকিৎসা মাথায় রাখা হয়েছিল।
মেয়েটির বাবা প্রধানমন্ত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।