করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সহায়তায় সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারা। সমন্বিতভাবে ঢাবি শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাসেবা এবং অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় উদ্যোগ নিয়েছে ডাকসু।

আজ বৃহস্পতিবার ডাকসুর সব নেতাদের পক্ষে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনের স্বাক্ষরিত সমন্বিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারো নিজ বা পরিবারের কোনো সদস্যের চিকিৎসাজনিত সহায়তার প্রয়োজন হলে এবং পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতাজনিত সমস্যার সম্মুখীন হলে ডাকসু নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

তবে এর আগে গত ২ এপ্রিল ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার এবং সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজ ও নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এবং গত ৩ এপ্রিল ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়। দুটি বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০০ জন অসচ্ছল  শিক্ষার্থী আবেদন করে, যার মধ্যে ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে সহযোগিতার ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানান তারা।

সমন্বিত বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, যেহেতু ডাকসুতে ছাত্রলীগের আধিপত্য বেশি তারা চাইলেই সমন্বিত কাজ করা যায়। আমরা আগেও চেয়েছি সমন্বিতভাবে ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করতে। ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ না চাওয়ায় এবং বিভিন্ন কারণে তা হয়ে ওঠেনি। করোনা যেহেতু আরো বড় মহামারির দিকে যাচ্ছে আগে আমরা আলাদা আলাদা কাজ করলেও এবার সমন্বিতভাবে ঢাবির অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব।

এ বিষয়ে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এ মহামারিতে ছিন্নমূল মানুষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছি, ডাকসুর অন্য নেতারাও নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করছে। আমরা ডাকসুর সব নেতা আলোচনা করে মনে করলাম যে আলাদা আলাদা না করে সমন্বিতভাবে করোনা মহামারিতে কাজ করলে ভালো হয়। যেহেতু সামনে রমজান এবং এটি আরো বড় মহামারিতে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমাদের এটি অব্যাহত থাকবে এবং যথার্থভাবে আমরা এ কাজ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

বছরজুড়ে সমন্বয়হীনতা লক্ষণীয় হলেও ডাকসুর এ সমন্বিত উদ্যোগকে ডাকসুর ইতিবাচক দিক এবং এমন ডাকসু কামনা করেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী।