ঢাবির বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে ৩২ পিস ইয়াবাসহ আটক ৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু টাওয়ার’ থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শনিবার রাতে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান।
আটককৃতরা হলেন- মো. নাহিদ হোসেন, সৌরভ ও মারিয়ম নিসা। এদের মধ্যে দুজন সেখানে একটি বাসায় সাবলেট থাকতেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের পরিপন্থী।
সূত্র জানায়, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাবির বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের ৬/সি নম্বর কক্ষ থেকে তাদের আটক করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এ ক্ষেত্রে তারা ঢাবি প্রশাসন ও শাহবাগ থানার অনুমতি নেয়।
সূত্র আরো জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসিক ভবন বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে ৩২ পিস ইয়াবা, দুটি মদের বোতল, আটটি মোবাইল ফোন, ১০-১২টি ব্যবহৃত সিম, মেমোরি কার্ড, পেনড্রাইভ, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, নগদ ১১ হাজার টাকা, দেড় হাজার ভারতীয় রুপিসহ ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ওই বাসায় তালা ঝুলতে দেখা গেছে।
এই বিষয়ে নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান বলেন, শনিবার কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে কলাবাগান থানা পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সৌরভকে ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। তিনি বলেন, সৌরভ ঘোষণা দিয়েছিল তাকে কেউ ধরতে পারবে না। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করি। এরপর গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে সৌরভসহ তিনজনকে আটক করি। তাদের মধ্যে নাহিদকে সৌরভ তার মামা এবং নিসাকে বান্ধবী বলে পরিচয় দেয়। তারা তিনজনই এই মুহূর্তে কলাবাগান থানায় আটক আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসাগুলো বরাদ্দ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিস। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস বলেন, ‘আমি এ ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠিয়ে জানতে পেরেছি সে বাসায় তালা দেওয়া। রাতে সে ভবনের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডকে ডেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। আমি যেটুকু জেনেছি তার ওপর ভিত্তি করে আগামীকাল (আজ) সেই কক্ষ সিলগালা করব এবং সেই বাসার বরাদ্দ বাতিল করব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ যাতে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয় সে জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রক্টর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অফিশিয়ালি কেউ আমাকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানায়নি। আমি এই বিষয়ে সম্পর্কে খোঁজখবর নেব এবং এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। ক্রিমিনাল কেস হলে বিশ্ববিদ্যালয় সেটা বরদাশত করবে না।