রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিচার চেয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন চার শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সেখানে গিয়ে তাঁদের অনশন ভাঙান।

এ সময় উপাচার্য তাঁদের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। তবে এ ঘটনার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখলে আগামী ২০ তারিখ থেকে পুনরায় অনশনের ঘোষণা দেন চার শিক্ষার্থী।

জানা যায়, গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাতুল ইসলাম। পরে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন ইতিহাস বিভাগের ছাত্র আবদুর রহমান, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র সাইফুল ইসলাম এবং তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের মোস্তাফিজুর রহমান নাফিস।

অনশনকারীরা চারটি দাবিও তুলে ধরেন। তা হলো—ধর্ষককে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার, অপরাধের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসে তাঁদের জুস ও পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য প্রমুখ।

এ বিষয়ে অনশনকারী সিফাতুল ইসলাম বলেন, ‘উপাচার্য স্যারের আশ্বাসে আমরা আমাদের কর্মসূচি ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছি। আমরা চাই, এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবির বাস্তবায়ন হোক এবং ধর্ষণ প্রতিরোধে সমাজের সবাই এগিয়ে আসুক, সচেতন হোক।’