ছাত্রজীবনের স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ট্রেনে গলা ছেড়ে গান আমিও গাইতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আমি চট্টগ্রাম শহরে থাকতাম। মাঝে মধ্যে হলেও থাকতাম। ট্রেনে করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতাম। ওসময় ট্রেনে গলা ছেড়ে বন্ধুদের নিয়ে আমিও গান গাইতাম।’

আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ট্রেনের সহপাঠীরা অনেকেই আজকে অ্যালামনাইয়ে এসেছেন। তাঁরা সবাই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। গলা ছেড়ে গান গাইতো সেটি বললে তাঁরা লজ্জাও পেতে পারেন। তবে আমিও গান গাইতাম। সেই যে গলা ছেড়ে গান গাওয়া আমার ইচ্ছে হয় যদি আবার সেই বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলেয়ে গান গাইতে গাইতে যেতে পারতাম। এটা হবে কিনা জানিনা কখনো। তবে এটি যদি করতে পারতাম খুব ভালো লাগত।’

হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেটিকে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সাজিয়েছে। পৃথিবীর বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার আমার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু এমন সুন্দর প্রকৃতির শোভা পৃথিবীর খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চেনা মুখগুলো বহু বছর দেখিনি, তাদের সাথে দেখা হলো আজ। ইচ্ছে করে আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই জীবনে ফিরে যেতে। যেই বালুকণায় ঘিরে আমাদের স্মৃতি, যেখানে আমরা সময় কাটিয়েছি সেই দিনগুলোতে ফেরত যেতে ইচ্ছে করে। এই অসাধারণ আয়োজনের জন্য যারা কষ্ট করেছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’

সবার জন্য সুন্দর জীবন ও সমৃদ্ধি কামনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে আমরা আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাব। সেটাই হোক সকলের প্রত্যাশা।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীন আখতার, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি  আব্দুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলমসহ বিপুলসংখ্যক প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।