জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নতুন কমিটি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছানকে সভাপতি ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি থেকে আগামী দুই বছরের জন্য ২৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যদের মধ্যে সহসভাপতি হয়েছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব কবির, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার ও অধ্যাপক সোহেল রানা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিবেশবিজ্ঞানের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মামুন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সিএসই বিভাগের অধ্যাপক আবু সাইদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন ও নারীবিষয়ক সম্পাদক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা।
অনুষদ প্রতিনিধি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহমেদ, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুর এলাহী, গণিত বিভাগের অধ্যাপক আবেদা সুলতানা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং ইনস্টিটিউট প্রতিনিধি আইবিএ-জেইউর গোলাম কিবরিয়া।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন আইআইটির অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটোয়ারী, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, গণিত বিভাগের অধ্যাপক শরিফ উদ্দিন, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুজ্জামান, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এমাদুল হুদা, আইবিএ-জেইউর অধ্যাপক কে এম জাহিদুল ইসলাম ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক তাসমিনা রহমান।
এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাপক মজিবুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক আবদুস সালাম, অধ্যাপক মনজুরুল করিম, অধ্যাপক নাজমুল আলম, অধ্যাপক শরিফুল হুদা রিপন ও অধ্যাপক তালিম হোসেন দায়িত্ব পেয়েছেন।
নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা ভেঙে শিক্ষাক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করে রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরিতে কাজ করে যাবে।’
জাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের একটি অংশ উপাচার্যবিরোধী চলমান আন্দোলনের বিপক্ষে উপাচার্যকে সমর্থন দিয়েছে। এ নিয়ে দুটি পক্ষ তৈরি হলেও বিএনপিপন্থী অধিকাংশ শিক্ষকই উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে আছেন। নতুন কমিটি আগামীর আন্দোলনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।