জাবিতে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ঝাড়ু মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পরিবহন চত্বরের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে আন্দোলনের সংগঠক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা বলেন, ‘এই দুর্নীতিবাজ উপাচার্য সারা দেশের সামনে দুর্নীতির মডেলে পরিণত হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগরকে কলঙ্কমুক্ত করার আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। শিক্ষার্থীরা আজ ঝাড়ু হাতে নিয়েছে। সামনে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হয়েছে। জুতা নিক্ষেপের কর্মসূচিও আসবে। যেখানেই ফারজানা ইসলামকে পাওয়া যাবে সেখানেই জুতা নিক্ষেপ করা হবে।’
ওই শিক্ষক আরও বলেন, ‘একটা সময় পর্যন্ত তদন্ত করার কথা বলেছি কিন্তু ফারজনা ইসলাম শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে গণঅভ্যুত্থান বলে নিজেই প্রমাণ করেছেন যে তিনি দুর্নীতিবাজ। এই আত্মস্বীকৃত মামলাবাজ, হামলাবাজকে অপসারণ করার জন্য আর কোনো তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই কুলাঙ্গার উপাচার্যকে জাহাঙ্গীরনগর থেকে বিলুপ্ত করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু বিপুল সংখ্যক পুলিশ প্রতিদিন এই দুর্নীতিবাজকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।’
এ সময় তিনি পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘এই উপাচার্য কোনো কারণ ছাড়াই হল ভ্যাকেন্টের মাধ্যমে সবাইকে ভোগান্তিতে ফেলেছেন। এই উপাচার্যের কাছে ক্যাম্পাসের কেউ নিরাপদ নয়। উপাচার্য এই ক্যাম্পাসকে ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছেন।’
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মচারী শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেনি। একজন আত্মস্বীকৃত হামলাবাজ কীভাবে উপাচার্য থাকে আমরা জানি না। উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মাক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় পার করছে। ৫ নভেম্বরের হামলার কোনো বিচার এখনও হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্তের যে আশ্বাস দিয়েছেন সেই তদন্তের স্বরূপ এই ক্যাম্পাস, এই দেশের মানুষ দেখতে চায়।’