বেতন কমানোর দাবিতে মনিপুর স্কুলের অভিভাবকদের বিক্ষোভ
বকেয়া বেতন কমানোর দাবিতে রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের রূপনগর ক্যাম্পাসের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা। আজ শনিবার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভের সময় রূপনগর, শিয়ালবাড়ী ও দুয়ারিপাড়া এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানান রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেছেন।’
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা পুরো বছরের বেতন অর্ধেক কমানোর দাবিতে বেশ কিছু সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এই ঘটনা শুনে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মাননীয় এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার গিয়েছিলেন সেখানে। তিনি আন্দোলনকারীদের কথা শুনেছেন। তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।’
ওসি বলেন, ‘আগামী সোমবার কামাল আহমেদ মজুমদার অভিভাবকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুনরায় বৈঠকে বসবেন। তাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সে সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম সেখানে। তারপর বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন।’
আন্দোলনরত কয়েকজন অভিভাবক জানান, করোনায় মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মনিপুর স্কুলের বেতন আদায় বন্ধ নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষ ২৯ অক্টোবর পরীক্ষা নেবে। সে জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে ২০ তারিখের মধ্যে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে প্রবেশপত্র নিতে হবে। কারো কম দেওয়ার সুযোগ নেই। কয়েকজন অভিভাবক বেতন পরিশোধ করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করলেও বেশিরভাগ অভিভাবকের বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই। কারণ করোনায় সবাই আর্থিক সংকটে ভুগছেন। অভিভাবকদের দাবি বেতন যেন অর্ধেক করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। বকেয়া বেতন পরিশোধ ছাড়া কাউকে পরীক্ষা দিতে দেবে না।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, তাঁর মেয়ের মাসিক বেতন তিন হাজার টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, আইসিটি ফিসহ অনেক ফি রয়েছে। যেহেতু করোনার কারণে স্কুল বন্ধ। তাই এই বিলগুলো বাদ দিয়ে কর্তৃপক্ষ বেতন কমাতে পারে। বেতন অন্তত অর্ধেক না কমিয়ে কিছু তো কমাতে পারে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাতেও রাজি নয়। বাধ্য হয়ে সবাই রাস্তায় নেমেছেন।