আগামী রোববার সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় ২৯ লাখ তিন হাজার ৬৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন।

গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক সমাপনীর পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন। ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন। ইবতেদায়িতে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩০ হাজার ৯৮৩ জন।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম  মনজুর কাদিরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোট সাত হাজার ৪৭০টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এবার ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মধ্যে ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন ছাত্র আর ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন ছাত্রী। অন্যদিকে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় তিন লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২ জন এবং ছাত্রী এক লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুই মাধ্যমের পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৪ জন বেশি। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী দুটিতে মিলে তিন হাজার ৫৮৩ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী অংশ নেবে।

প্রাথমিক শিক্ষা সমপানীতে পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিদ্যালয়গুলো দ্রুত মেরামত করে পরীক্ষার আয়োজন করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ নম্বরের উত্তর দিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৭ নভেম্বর ইংরেজি, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২০ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২১ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর পরীক্ষায় ১৭ নভেম্বর ইংরেজি, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২০ নভেম্বর আরবি, ২১ নভেম্বর কোরআন মজিদ ও তাজবিদ এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে এবং দুপুর ১টায় শেষ হবে। এ ছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।