ঢাবির সেই ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল থেকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও পিস্তলসহ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটকের ঘটনায় চারজনকে এবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে তাদেরকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
গত বছরের ৮ অক্টোবর রাতে মহসীন হলের ১২১ নম্বর কক্ষ থেকে পিস্তল, বটি, সিসিক্যামেরা, হাতুড়ি, লাঠিসহ আটক করা হয় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে। অন্য দুই নেতা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির ক্রীড়াবিষয়ক উপসম্পাদক হাসিবুর রহমান তুষার, দর্শন বিভাগের ছাত্র ও ঢাবি ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির অর্থবিষয়ক উপসম্পাদক আবু বকর আলিফ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপসম্পাদক মো. ইফতেখার ইসলাম তুষার এবং বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও হল ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক ইমরান হোসেন (ইমরান ফরহাদ ইমু)।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া মুহসীন হল ছাত্রলীগের চার নেতাকেও স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেট সভায় তা তোলা হবে।’
প্রক্টর আরো বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ছিনতাই ও মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো ১৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না—তা জানতে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে শৃঙ্খলা কমিটির আজকের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগে দুজনকে চিহ্নিত করেছিল প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা। তাদেরও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এটা একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। যা এর আগে কেউ করতে পারেনি। এখানে যাদের বহিষ্কার করা হচ্ছে তারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অপরাধীর স্থান হতে পারে না।’