ঢাবিতে পাঁচটি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উদ্যোগে পাঁচটি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপিত কোভিড-১৯ ল্যাবে সংগৃহীত নমুনা থেকে পাঁচটি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবির জীববিজ্ঞান অনুষদের সংশ্লিষ্ট গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাসের বিস্তৃত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, তার অংশ হিসেবেই এই সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করা হয়। প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আরো ১০০টি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও সিকোয়েন্সিংয়ের আওতায় আনা হবে। বিশেষত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথচ লক্ষণগত ভিন্নতা রয়েছে, এ রকম ব্যক্তিদের এক্সোম (মোট জিনের সমষ্টি) সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা হবে।
এই সিকোয়েন্স ডাটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আন্তর্জাতিক তথ্যভাণ্ডার গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটা (জিআইএসএআইডি) দ্বারা গৃহীত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এ গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশে চলমান করোনাভাইরাস মহামারির গতিপ্রকৃতি, উৎস, জিনগত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন এবং এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্ট গবেষকদের।
এই প্রকল্পে জীববিজ্ঞান অনুষদের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ ও উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ও বিজ্ঞানীরা যুক্ত আছেন। গবেষণা দলের নেতৃত্বে রয়েছেন জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাবির করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান।