ইবি ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, ছাত্রলীগ সম্পাদক গ্রেপ্তার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা তাঁদের বাধা দিলে প্রধান গেটের সামনে এ সংঘর্ষ বাধে। এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করেন নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে ইবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিতর্কিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কর্তৃত্ব পুনর্বহালে তাঁরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারে এমন সংবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে লাঠিসোটা নিয়ে বহিরাগতসহ প্রায় ২০ কর্মী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করেন সভাপতি-সম্পাদক। এ সময় প্রধান গেটে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের আরেক অংশ মিজানুর রহমান লালন ও আরাফাতের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা প্রতিহতের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে বিদ্রোহী পক্ষের হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালান সভাপতি-সম্পাদকদের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটান উভয় পক্ষের কর্মীরা। সংঘর্ষে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। সাধারণ সম্পাদক রাকিবকে বেধড়ক পেটান বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা। পরে আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে ড. সেলিনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ড. তপন কুমার জোদ্দার ও মোস্তফা জামান হ্যাপি।