প্রতিনিয়ত কাঁচাবাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। এতে করে কিছু পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেকেই বাজারে গিয়ে নিজের খরচে হিসাব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজারে সরবরাহ কম।

রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর ও আরামবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সবজি কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বেগুন ৭০ টাকা থেকে ১২০ টাকা এবং শিম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বরবটি কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১২০ টাকা, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ কাঁচাবাজারে কথা হয় সবজি ক্রেতা মো. এহসিন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে কিছু সবজি আমাদের মতো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। কয়েক মাস থেকে সবজির বাজারের এই অবস্থা চলছে কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। 

অন্যদিকে বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের আগাম সবজি শিম, ফুলকপি, বেগুন, আলু ও বাঁধাকপি। তবে দাম চড়া। নতুন শিম বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ফুলকপি আকারভেদে প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

শান্তিনগর কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে সবজির দাম চড়া। বাজারে সবজির আমদানি কম। তাই আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। এই কারণে আমাদের বেচাকেনা কমেছে। আগে যে লোক দুই থেকে তিন কেজি সবজি কিনত, এখন সেখানে এক থেকে দেড় কেজি কিনছে। 

ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকায় উঠেছে। ফার্মের ডিম হালিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।