দেশে সাম্প্রতিক সময়ের সন্ত্রাসী হামলার কারণে তৈরি পোশাক খাত চলতি মৌসুমে ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশ হারাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন বাবুল।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিজিবিএর সভাপতি।  

কাজী ইফতেখার হোসাইন বাবুল বলেন, শুধু চলতি মৌসুমেই ৬০ শতাংশ পোশাকের অর্ডার হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার অন্য দেশে চলে গেলে এ খাতে দুই থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার (২৫ হাজার কোটি ডলার) ক্ষতি হবে। এ পরিমাণ ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে গেলে এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ইফতেখার হোসাইন আরো বলেন, সম্প্রতি গুলশান হামলায় যাদের  মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ছয়জন ইতালীয় ছিলেন। আর ভারতীয় যে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে, তার বাবাও বায়িং ব্যবসায় জড়িত। এতে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে এইচ অ্যান্ড এম বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসা সংকোচনের চিন্তা করছে বলে জানান ইফতেখার হোসাইন। তিনি বলেন, অনেক বিদেশি ক্রেতাও নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণের বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা করছে। এরই মধ্যে বায়িং হাউসগুলোর ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নেতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছে, যা এ খাতের জন্য আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইফতেখার জানান, দেশের মোট রপ্তানির ৮২ শতাংশ আয় আসে পোশাক খাত থেকে। এসব তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ আসে দুই মৌসুমে। এর মধ্যে জুলাই-আগস্ট মৌসুমে পশ্চিমা ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বেশি আসে।