পণ্য চাহিদার তালিকা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার যেসব পণ্যের চাহিদা আছে, তার একটি তালিকা দিতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বাসোজা গুনাসেকারা।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাসোজা গুনাসেকারা এ কথা বলেন।
মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জিত হতে যাচ্ছে। আর মাথাপিছু আয় এক হাজার ৪১০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। অগ্রগতির এ পর্যায়ে দেশের সঙ্গে সঙ্গে এফবিসিসিআইও তার চিন্তাভাবনা ও কার্যক্রমে পরিবর্তন এনেছে।’
মাতলুব আহমাদ আরো বলেন, ‘এফবিসিসিআই এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ ও বায়িং মিশন (ক্রয় চাহিদা) পাঠিয়ে থাকে। প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ যেহেতু অন্যান্য দেশ থেকে টেক্সটাইল পণ্য আমদানি করছে, শ্রীলঙ্কা থেকেও এ পণ্য আমদানি করতে পারে।’
সাক্ষাৎকালে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার বাসোজা গুনাসেকারা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ ও বাণিজ্য আরো বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব তুলে ধরেন। বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার যে যে পণ্যের চাহিদা আছে, তার একটি তালিকা তিনি এফবিসিসিআইকে দিতে অনুরোধ জানান।
এ সময় হাইকমিশনার বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শ্রীলঙ্কায় বিনিয়োগ করতে আহ্বান করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের ভ্রমণে ভিসা প্রক্রিয়া আরো সহজ করার গুরুত্ব আরোপ করেন।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কায় দুই কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। একই সময়ে চার কোটি ৪১ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে। বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা মূলত কৃষিজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য, নিটওয়্যার ও ওভেন পণ্য আমদানি করে থাকে।