ওষুধের মেধাস্বত্বে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ছাড় পেল বাংলাদেশ
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে (এলডিসি) ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে (পেটেন্ট) ছাড় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী অর্জন। এর ফলে মেধাস্বত্বের জন্য কোনো ব্যয় ছাড়াই আরো ১৭ বছর ওষুধ তৈরি ও কেনাবেচা করতে পারবে দেশের কোম্পানিগুলো। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দরিদ্র দেশগুলোর জন্য উন্নত বিশ্বের দেওয়া বিশেষ এই সুবিধার মেয়াদ চলতি বছরেই শেষ হতো। এ কারণে এসব দেশের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল রাখতে ডব্লিউটিওর কাছে আবেদন জানানো হয়। গত শুক্রবার জেনেভায় ট্রিপস (ট্রেড রিলেটেড আসপেক্টস অব ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস) কাউন্সিলের বৈঠকে ‘অন্তত ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত’ ওষুধ পণ্যের মেধাস্বত্ব কার্যকরের ক্ষেত্রে ‘সর্বোচ্চ ছাড়’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের জন্য পেটেন্ট প্রদান করতে হবে না। এ ব্যাপারে ৬ নভেম্বর জেনেভায় ডব্লিউটিও সদর দপ্তরে পিস কাউন্সিলের সভায় চুক্তি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ২৫০টি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি রয়েছে। দেশের চাহিদার ৯৭ ভাগ পূরণ করে এসব প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৩০টির বেশি কোম্পানি জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্কসহ ১০৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে থাকে।’