‘পেঁয়াজের বাজারের ভাব ভালো না’

Looks like you've blocked notifications!
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। ছবি : এনটিভি

বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে পেঁয়াজ, রসুন আর আদার দাম। সরবরাহের ঘাটতির কথা বলে পাইকাররা বলছেন, কোরবানির ঈদের আগে এই পণ্যগুলোর দাম আরো বাড়তে পারে। অন্যদিকে বাজারে প্রতিনিয়তই বাড়ছে সব ধরনের ডিমের দামও।

একমাস আগেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ টাকা। কেজিতে প্রায় ১৫ টাকা দাম বেড়ে সেই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে এখন ৪৫ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দামও বাড়তি, কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এমন মূল্যবৃদ্ধিতে হতাশ পেঁয়াজ কিনতে আসা সাধারণ মানুষ।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা এক ব্যক্তি বলছিলেন, গত মাসে যা ছিল, আমার কাছে মনে হচ্ছে দ্বিগুণ দাম পেঁয়াজের।

অপর এক ক্রেতা বলছিলেন, এখন তো আমাদের চাহিদা এত বেশি না। কোরবানির আগে দিয়ে এই সমস্ত মসলার চাহিদা বেশি হয়। সুতরাং এই দাম বেড়ে যাওয়াটা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

গত এক মাসে প্রতি কেজি আমদানিকৃত রসুনের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। বাজারে দেশি-বিদেশি আদার দামও বাড়তির দিকে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে হঠাৎ দাম বাড়ছে এসব পণ্যের।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের এক পাইকার বলছিলেন, ‘হাটেও আমদানি কম, পেঁয়াজও নষ্ট। তবে ঈদের আগে যেভাবে দেখতেছি, পেঁয়াজের বাজারের ভাব ভালো না, ঈদের আগে ৬০-৭০ টাকা হয়ে যাবে। আমদানিকারকরা বেশি দামে বেঁচতেছে, আমরাও একটু বেশি দামে বেঁচতেছি।’

পঁচনের কারণে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে জানিয়ে পাইকাররা বলছেন, কোরবানির ঈদের আগে দাম আরো বাড়তে পারে। এ ছাড়া আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর কারণে ভারতীয় পেঁয়াজ ও রসুনের দামটাও পাইকারি বাজারে বাড়ছে বলে জানান তারা।

এক দোকানি বলছিলেন, ‘কিনতে যাই খালি দেখি বাজার বাড়তি। কোন জায়গায় যে বাড়তেছে। জিগাইলাম যে ঘটনাডা কী? বলে অনেক মজুতদার ছিল, মজুতদার এখন নাই। পেঁয়াজের স্টক কমে গেছে তো, এজন্য বেড়ে গেছে।’

অন্যদিকে বাজারে সব ধরনের ডিমের দামও বাড়তি। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১১৫ টাকা আর হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে ডিমের এক দোকানি বলছিলেন, ‘এখন বর্তমান ১১৪ টাকা ডজন কিনতে হইতেছে। ডিমের দাম অনেক বেশি, আড়তেই তো সরবরাহ কম। আগে যার দোকানে ১ লাখ দেড় লাখ টাকার মাল আসত, সেসব ঘরে এখন ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার মাল।’  

পাইকারি বাজারে সরবরাহ না বড়লে, খুচরা বাজারে ডিমের দাম কমার লক্ষণ দেখছেন না খুচরা বিক্রেতারা।