দ্রুত ফাইভ-জি চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি : ফোকাস বাংলা

দ্রুততম সময়ে ফাইভ-জি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার। বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।

আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, দুর্গম উপজেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক চালুসহ এরই মধ্যে দেশের জেলা এবং বিভাগ ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। সরকার দ্রুততম সময়ে ফাইভ-জি চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

অর্থমন্ত্রী আরো জানান, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ের ১৮ হাজার ৪৩৪টি সরকারি অফিসকে একটি একীভূত নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা হয়েছে। দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া দেশব্যাপী বিস্তৃত তথ্যপ্রযুক্তি কাঠামোর নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সব ধরনের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের স্তর পেরিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ, সুখী উন্নত- সমৃদ্ধ সোনর বাংলা গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ স্লোগান সংবলিত এ বাজেট পেশ করেন।

বাজেট পেশের একপর্যায়ে অসুস্থ অর্থমন্ত্রী বক্তব্য দিতে অসুবিধা বোধ করায় সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পক্ষে বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এ ছাড়া, এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক বাজেট ঘাটতি এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।