বরাদ্দ বেড়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে, কমেছে স্বাস্থ্যে

Looks like you've blocked notifications!

আগামী অর্থবছরের জন্য খাত হিসাবে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে। অন্যদিকে বাজেটের সম্পদের ব্যবহারের দিক থেকে চলতি অর্থবছরের তুলনায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ না বেড়ে উল্টো কমে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট পেশের এক পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী বক্তব্য দিতে অসুস্থবোধ করায় সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পক্ষে বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

উন্নয়নের দাবি নিয়ে যেসব খাত রয়েছে তার মধ্যে  বরাদ্দের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত। শতকরা হিসাবে মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ২ শতাংশ বাজেটের প্রস্তাব করা হয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের জন্য। যা চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এমন বাড়তি বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

কারিগরি এবং মাদ্রাসা-এই দুই শিক্ষার ওপরই একই সঙ্গে সুনজর রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে, যেখানে এই দুই ধরনের শিক্ষার জন্য মোট বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা থেকে সাত হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা দীর্ঘ দিন ধরে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাদের জন্য সুখবর হলো এমিপিওভুক্ত কার্যক্রমের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নের জন্য নয় হাজার কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বরাদ্দের তুলনায় ৫৪ শতাংশ বেশি। আবার এমন বরাদ্দ বাড়ার সাথে উচ্চ শিক্ষার শিক্ষার্থীরা যেন দেশের কাজে লাগে সেব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর হয়ে বাজেট বক্তব্যে কিছু দিকনির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতের মতো স্বাস্থ্য খাত এতটা সুবিধা পায়নি । টাকার অংকে বরাদ্দ বাড়লেও বাজেটের সম্পদের ব্যবহারের দিকে থেকে উল্টো স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমে গেছে।  চলতি অর্থবছরে যেখানে মোট বরাদ্দ পাঁচ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতের জন্য  রাখা হয়েছিল, সেখানে প্রস্তাবিত বাজেটে সেই হিসাবটি নেমে গেছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে।