নিরাপদ সড়কের জন্য চালকদের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা
এক হাজারেরও বেশি চালকের বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো প্রজেক্ট ভিশনের আয়োজন করল জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই)। দাতব্য এ উদ্যোগটিতে অংশীদার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘সহজ’। এ উদ্যোগে সহজের রাইডাররা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চক্ষু পরীক্ষা করাতে পারবেন। সম্প্রতি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বিনামূল্যে এ চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
চালকদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইওএইচ) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। চশমায় সমাধানযোগ্য দৃষ্টি সমস্যার ক্ষেত্রে চালকদের বিনামূল্যে চশমা প্রদান করে ফ্যাশন অপটিকস লিমিটেড। অপেক্ষাকৃত জটিল সমস্যার ক্ষেত্রে রোগীদের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
এ নিয়ে সহজের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির বলেন, ‘আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার বর্তমানে সব সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে। চালকদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সবার জন্য সড়ক নিরাপদ করে তুলতে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। দৃষ্টিশক্তির সাধারণ সমস্যাগুলো ছাড়াও আরো জটিল কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন—ছানি, বয়সজনিত ক্ষীণদৃষ্টি এবং ক্যানসার ঝুঁকি শনাক্ত করা সম্ভব হবে এ উদ্যোগের মাধ্যমে। সহজ বিশ্বাস করে, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে এ জটিল সমস্যাগুলো শনাক্ত ও সমাধান করা জরুরি।’
সম্প্রতি চারশর বেশি বাসচালক, যাত্রী, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও বিআরটিএ কর্মকর্তাদের নিয়ে মাঠপর্যায়ে একটি জরিপ পরিচালনা করে জেসিআই। জরিপের ফল অনুযায়ী, দৈনিক টানা ১২ ঘণ্টা কাজ করার ফলে ৯৫ শতাংশ চালকই কোনো না কোনো চক্ষু সমস্যায় ভুগছেন। দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালাতে হয় এমন চালকদের দৃষ্টিশক্তির যেকোনো সমস্যাই তাঁর নিজের এবং সড়কে থাকা সবার জন্যই সমানভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে ‘সহজ’ এরই মধ্যে বিনামূল্যে হেলমেট বিতরণ করেছে এবং বেশ কয়েকটি সচেতনতামূলক কর্মসূচিও আয়োজন করেছে।
চালকদের মধ্যে চোখের সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হয়েছে ‘প্রজেক্ট ভিশন ভলিউম ২.০’। নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠায় চালকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব নিরসনে ও টেকসই সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জেসিআই-ঢাকা পশ্চিম কর্তৃপক্ষ।
জেসিআইর এ উদ্যোগে অংশীদার হিসেবে রয়েছে সহজ, জাতিসংঘ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।