পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি

Looks like you've blocked notifications!
শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে রাজধানীতে মিছিল করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। ছবি : সংগৃহীত

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করেছে ওই সংগঠন।  

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার কথা জানান। তিনি আরো জানান, আগামী ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এর পরই গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করার কথা জানায় গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার নিম্নতম মজুরি বোর্ডের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত চারটি বৈঠকে শ্রমিকদের জন্য কোনো ঘোষণা না এলেও আজ পঞ্চম বৈঠক শেষে প্রস্তাব এলো, সচিবালয় থেকে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর মুখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে।

গত চারবারের মতো এবারেও গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন, আন্দোলরত শ্রমিক সংগঠনগুলো এবং অন্যান্য শ্রমিক সংগঠন মজুরি বোর্ডের সামনে ১৬ হাজার টাকার দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ করে।

গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আজকের এই অবস্থান ও বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা রাজু আহমেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা মমিনুর রহমান মমিনসহ অন্য নেতারা।

বিবৃবিতে আরো বলা হয়, অবস্থান কর্মসূচি শেষে এক জরুরি বৈঠকে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে আট হাজার টাকার প্রস্তাবনাকে প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং হতাশা ব্যক্ত করা হয়। রপ্তানি আয়ের ৮৩ ভাগ অর্জনকারী শ্রমিকরা বেঁচে থাকার জন্য দাবি করেছিল ১৬ হাজার টাকা। মালিকদের কথায় প্রধানমন্ত্রী ৫০ ভাগ ঘুরে গেলেন তাদের দিকে। একইসঙ্গে বিজেএমইএ এবং বিকেএমইএ এর যৌথ সভায় শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বাড়তি খরচ পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই করপোরেট ট্যাক্স এবং উৎসে কর কমানোর সিদ্ধান্ত দিয়ে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। নেতারা আরো বলেন, ‘অবিলম্বে এই মজুরি পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের চাহিদা মাফিক বাস্তবসম্মত মজুরি নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় শ্রমিকরা কারখানা ফেলে রাজপথে নেমে এলে তার দায় দায়িত্ব মালিক ও সরকারকেই বহন করতে হবে।’

আগামীকাল সকাল সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে সংগঠনটি।