‘সরকারি দামে’ চামড়া, লোকসানে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

Looks like you've blocked notifications!
এ বছর বেশ সতর্ক অবস্থানে থেকে কিছুটা কম দামেই কোরবানির পশুর চামড়া কিনছেন আড়ৎদার এবং ট্যানারি মালিকরা। ছবি : এনটিভি

এ বছর বেশ সতর্ক অবস্থানে থেকে কিছুটা কম দামেই কোরবানির পশুর চামড়া কিনছেন আড়ৎদার এবং ট্যানারি মালিকরা। এ জন্য রাজধানীর পাড়া মহল্লা থেকে চামড়া কিনে এনে লোকসান গুনতে হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।

রাজধানীর পাড়া- মহল্লার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মূলত ফড়িয়া এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীরাই কোরবানির পশুর চামড়া কিনেছেন। পরে তাঁরা এসব চামড়া নিয়ে আসেন, রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে বসা কাঁচা চামড়ার অস্থায়ী বাজারে। বিশেষ করে সাইন্সল্যাব এবং ঢাকেশ্বরী মোড় থেকে তাদের কাছ থেকে চামড়া কেনেন ট্যানারি এবং আড়ত মালিকরা। চলে হরদম দর কষাকষি আর বেচাকেনা।

বেশিরভাগ মৌসুমী ব্যবসায়ীর দাবি, লোকসানে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে তাদের। একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী (৪৫) জানালেন, তিনি তিনটি চামড়া কিনেছেন দুই হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে। এখন এগুলোর দাম বলছে এক হাজার ৮০০ টাকা। তাঁর ক্ষতি হবে।

অন্য আরেকজন ব্যবসায়ী (৪৫) বলেন, তিনি বেশি দামে কিনেছেন। এখন বাজারে এসে দেখেন দাম কম।

তবে ট্যানারি এবং আড়ত মালিকরা বলছেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনে এনেছেন।

একজন ক্রেতা (৪০) জানালেন, তিনি এখন পর্যন্ত কোম্পানি যা দাম দিয়েছে তার চেয়ে পাঁচ টাকা ফুট বেশি দরেই কিনছেন।

আরেক ক্রেতা বললেন, ‘আমরা চামড়া খুব সতর্কভাবে কিনছি। সরকার যে দাম দিয়েছে সেই দামেই কিনছি। এর উপরে যাইতাছি না।’

তবে আন্তর্জাতিক বাজার কিছুটা মন্দা থাকায়, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া কেনার চেষ্টা করছেন বলে জানান আড়ৎদার ও ট্যানারি মালিকরা।

একজন ট্যানারি মালিক (৪৫) বলেন, ‘সরকার আমাদের ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দাম দিছে। আমরা কাঁচাটাই কিনছি ৫০ টাকা উপরে।’

চামড়ার দাম কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে আরেক ট্যানারি ব্যবসায়ী বলেন, ‘কারণটা হইল আন্তর্জাতিক বাজার খারাপ আর ট্যানারি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরে গেছে।’

তবে চামড়ার দামের প্রকৃত চিত্র বোঝা যাবে, রাজধানী এবং এর আশপাশের সব এলাকা থেকে চামড়া আসার পরেই।